সখীপুরে সাবেক এমপি জয়সহ ১৬৭ জনের নামে মামলা
তাইবুর রহমান ,সখীপুর:
সরকার পতন আন্দোলনের পর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়সহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সখীপুর থানার পৌর এলাকায় সারাদেশের ন্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী স্থানীয় আওয়ামী লীগের হামলায় গুরুতর জখম ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে ১৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ১শত থেকে ১শত ৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে এই মামলাটি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ , পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু হানিফ আজাদ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কেবিএম রুহুল আমিন, কাজী বাদল, আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সুলতান শরীফ পান্না, শিবলী সাদিক নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। আর এ মামলার বাদী হয়েছেন সখীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুর্শেদুল ইসলাম অন্তর।
গত ৩ (আগস্ট) হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সখীপুর উপজেলার সৌখিন মোড় হতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একটি মিছিল উপজেলা গেইট এলাকায় পৌছায়। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়ের উপস্থিতিতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে আসামিদের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আওয়ামী লীগের নেতারা অস্ত্রসহ ধাওয়া করে। পরে শিক্ষার্থীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা আশিকের হাতে থাকা পাইপগানের আঘাতে আন্দোলনকারী খোরশেদ গুরুত্বর জখম হয়। অপর আসামি ডিএম সুপ্ত, স্বাধীনের হাতে লোহার পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী সায়মার মাথায় আঘাত চেষ্টা করলে তার পিঠে লাগে। এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নদী ও সেলিম আল মামুনকে আওয়ামী লীগের নেতারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোমরে সজোরে আঘাত করে মাটিতে ফেলে বেদম প্রহার করা হয়।
মামলার বাদী পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুর্শেদুল ইসলাম অন্তর জানান, সকলের সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মামলা বিলম্ব হয়েছে। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলার ও সখীপুরের ইতিহাসে এমন ঘৃণ্যতম অপরাধের প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
No comments