প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে উচ্ছ্বাস যেন কমছেই না !
তাইবুর রহমান, সখীপুর:
অন্যের বাড়িতে সারাদিন কাজ শেষে এখন আর পরের বাড়ি পাহাড়া দিতে হয় না। আজীবনের জন্য দীর্ঘ ৩০ বছর পর নিজের নামে পেলেন জমির দলিল ও ঘরের কাগজ। তাই উচ্ছ্বাস যেন কমছে না আশ্রয় প্রাপ্তদের।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার যাদবপুর বেড়বাড়ী কলাবাগান এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ২৯টি ঘর পাওয়ার এদের একজন লাল বানু । বাড়ি উপজেলার কালিদাস গ্রামে। নতুন পাওয়া ঘরের চারপাশ ঘুরে আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে বললেন, আধা পাকা ঘরটি তাঁর খুব পছন্দ হয়েছে। থাকার কক্ষের সঙ্গে রান্নাঘর। পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ভালো। বিদ্যুৎ আছে । পানি আছে । সে বেড়বাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্পে খুব ভালোভাবে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশের মতো সখীপুরেও আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মধ্যে নতুন ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। সখীপুরে মোট ২শত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন সীমাহীন স্বপ্ন। বহেড়াতৈল ইউনিয়নের আমতৈল ২৭, যাদবপুর কলাবাগান ২৯, হাতিবান্ধা ইউনিয়নের কামালিয়া চালা ১৯, জামলহাটখুরা ১২, কুতুবপুর ৬, বড় মৌশা ১২ এবং একক ঘর ৯৩টি।
প্রতিটি ঘরে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। পরে এক লাখ নব্বই হাজার, পরে দুই লাখ ৪০ হাজার,, দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫ শ, বর্তমানে প্রতিটি ঘরের নির্মাণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫শ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয় পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাত বা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি ও ঘর নাই, তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক চাহিদা ও কর্মসংস্থানের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
No comments