মধুপুরে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    মধুপুরে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা

    সাতক্ষীরা থেকে টাঙ্গাইলে প্রেমিকের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক তরুণীকে (১৬) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

    মধুপুরে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা

    টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন (২০) প্রেমিকের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রথমে মধুপুর ও পরে জামালপুর সদর উপজেলার সীমান্তে গণধর্ষণের শিকার হন।

    মেয়েটি জানায়, শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ৪ যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা সবাই মেয়ের প্রেমিক নাজমুলের আত্মীয় ও পরিচিতজন।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগডোবা গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে সজিব মিয়া (২৮), কৈলাকুড়ি (কামারতাফল) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮) ও রশিদপুর ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন (২৬)। . . নিহত জামালপুর সদর ও রুহুল আমিন রশিদপুর ভাটিপাড়া মো. ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০)।

    মেয়েটি মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাগডোবা গ্রামের মোস্তফার ছেলে নাজমুলের বন্ধু। সম্প্রতি তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। নাজমুল সজিবের চাচাতো ভাই। শুক্রবার বিকেলে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে জামালপুরের রশিদপুর চেরাস্তা থেকে মোটরসাইকেলে করে নাজমুলকে বাসায় নিতে যান সজিব ও হাফিজুর।

    বিকেলে সজিবের বাড়িতে না গিয়ে বিভিন্ন দিকে গিয়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে বিকেলে মধুপুর উপজেলার চাঁদপুর রাবার বাগানের কালাপাহাড় এলাকার জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

    ঘটনা জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকি। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইল ফোনটি রশিদপুর মোড়ে ফেলে যায়। নাজমুল বিষয়টি জানায় এবং মেয়েটিকে অপেক্ষা করতে বলে। এসময় বাজারে অবস্থানরত মামুন সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এবং সাতক্ষীরা পাঠানোর কথা বলে দিগপাইতকে নিয়ে যান।

    ডিগপাইয়ে খাওয়ার সময় নাজমুল তার মোবাইলে কল করে অবস্থান জেনে রশিদপুরে ফিরে আসতে বলেন। রশিদপুরে ফেরার পথে মামুন আবার মেয়েটিকে রশিদপুরের কাছে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়ি থেকে যোগ দেন হাফিজুল। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে রশিদপুরে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরদারবাড়ি এলাকার ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    এ সময় ধর্ষকরা তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। পরে তারা তাকে রশিদপুর-তুলসীপুর সড়কে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। মেয়েটি নাজমুলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তার অবস্থান জানায়। নাজমুল একটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মধুপুরের ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলীর সামনে হাজির হয়। চেয়ারম্যান দ্রুত তাদের থানায় পাঠান।

    ফুলবাগচালা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আলী বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ স্থানীয়ভাবে সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। তাই তাদের থানায় পাঠিয়েছি। এদিকে শনিবার সকালে ওই তরুণী নাজমুলকে নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    মধুপুর থানার ওসি মাজহারুল আমিন বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটকদেরও আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728