দেশি-বিদেশি চক্রান্তে ধর্ষণ ও নারী হয়রানী হচ্ছে- আহমেদ আযম খান

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন,আজ দেশী-বিদেশি চক্রান্তে শিশুদের ওপরে ধর্ষণ করা হচ্ছে।নারীদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। 

এগুলো সবকিছু ওই ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত।দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য এই ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত।

তিনি বলেন,আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের দোসদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।যেখানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং তার দোসদেরকে আপনারা আমরা সারা বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করছি।সেখানে দেখলাম একটি রাজনৈতিক দল তাঁরা সকালে বলে আওয়ামীলীগকে ক্ষমা করে দিলাম।আবার পরের দিন সকালে বলে গণহত্যাকারীদের বিচার করবো।আরেক দিন বলে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চাই।একেক দিন ওই রাজনৈতিক দলের নেতারা একেক রকম কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্তি করছে।আর সেদিন দেখলাম ফ্যাসিবাদের দোসর যে ফ্যাসিবাদের সাথে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিল।তাকে নিয়ে তারা ইফতার মাহফিলে শরিক হয়েছে।ওই ধরনের দলকে আপনারা চিহৃিত করে আগামী ভোটে প্রত্যাখ্যান করবেন।

মঙ্গলবার(১১ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন

তিনি বলেন,ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে গেছে।ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।সমস্ত সংবিধানিং প্রতিষ্ঠান ও আদালত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।সেই ধ্বংস স্তূপ থেকে বাংলাদেশকে গড়ে তুলার জন্য বিএনপিসহ সকল গণতান্তিক দল গুলো মিলে আমরা ড. ইউনুসকে ক্ষমতায় বসিয়েছি।আমরা স্পষ্ট বলেছি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আপনি নির্বাচন দিন।জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।

আহমেদ আযম খান বলেন,আজ বলতে চাই আপনারা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছেন। আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি।কিন্তু আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাইনি।আমাদের কাজ আগামী দিনে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্যে একটি অবাধ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নিরপক্ষ সকলের অংশ গ্রহনের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আপনাদের ক্ষমতায়ন করা। আপনারা যাকে ভোট দিবেন তিনি নির্বাচিত হবেন।আর ফ্যাসিবাদের মতো দিনের ভোট রাতে হবে না।কোন সিল হবে না।আপনারা ভোট দিবেন,আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হবে।আপনাদের ভোটে সংসদ হবে।আপনাদের ভোটে সরকার হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ওই দলটি ফ্যাসিবাদকে দাওয়াত করে ইফতার করে।ওই দলটি ড. ইউনুসকে বিভ্রান্তি করার জন্য নির্বাচন যাতে না হয় তার পায়তারা করছে।

তিনি বলেন,আজকে বাংলাদেশ একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছে।আমরা ১৭ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।রাজ পথে রক্ত দিয়েছি।বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম ও খুন হয়ে গেছে।৭ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।বাড়ি বাড়ি হামলা হয়েছে।অত্যাচার নির্যাতন হাজার বছর ছাড়িয়ে গেছে।তারপরও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অনুপ্রেরণায় ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা মাঠ ছাড়ি নাই।আমরা ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে সমস্ত ছাত্র জনতাকে নিয়ে আমরা এই দেশটাকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি।

কাঞ্চনপুর  ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদুল আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সোহরাব হোসেন,বাসাইল পৌর বিএনপি’র সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর নবী আবু হায়াত খান নবু,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি প্রমুখ।