বাসাইলে চিকিৎসকের গাছ কর্তনের ঘটনায় স্থানীয়দের বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
টাঙ্গাইলের বাসাইলে রাতের আঁধারে সাইফুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের বাড়ির রাস্তার গাছ কর্তনের ঘটনায় এক যুবককে সন্দেহের তালিকায় এনে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে উপজেলার মিয়াবাড়ি এলাকায় এক সালিশি বৈঠকে বিভিন্ন সূত্র ধরে অভিযুক্তের বিষয়টি উঠে আসে।এরআগে গত ৯ জুন দিনগত রাতে উপজেলার মিয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ডা. সাইফুল ইসলামের বাড়ির রাস্তার পাশে লাগানো ১৫ থেকে ২০টি সুপারি, নিম ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ভেঙে ও কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
সালিশে উপস্থিত হওয়া কয়েকজন জানান, উপজেলার মিয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ডা. সাইফুল ইসলামের বাড়ির রাস্তার গাছ কর্তনের ঘটনায় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে এক সালিশি বৈঠকে বসা হয়। অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এক যুবক কটূক্তিমূলক একাধিক মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের সূত্র ধরে সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়। এসময় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দসহ কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে আগামী কয়েকদিনের মধ্য আবার সালিশি বৈঠক বসবেন।
সালিশি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এনামুল করিম অটল। এসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমজান মিয়া, বাসাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহেল, প্রফেসর মোশারফ হোসেন ভূইয়া, ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আবিদ হোসেন ইমন, উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্য আতিকুর রহমান মিঠু, বাসাইল সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনু মিয়া, ফিরোজ ভূইয়া, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান কালনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশি বৈঠক সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান।
ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়ির রাস্তায় লাগানো ১৫ থেকে ২০টি গাছের চারা ভেঙে ও কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে স্থানীয় এক যুবক বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক মন্তব্য করেন। এই মন্তব্যের সূত্র ধরে আমরা তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। পরে সালিশি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে মাতাব্বররা দায়িত্ব নিয়েছেন। সমাধানে না আসলে বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, স্থানীয়রা জানান, মিয়াবাড়ি সড়কের পাশে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে সন্ধ্যা হলেই প্রতিনিয়ত মাদক সেবনকারীদের আড্ডা বসে। এই মাদক সেবনকারীরা বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের বাড়িতে হানা দিয়ে ক্ষতি করে আসছে। তাদের দাপটে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।
No comments