বাসাইলে একইস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র সমাজের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক; কঠোর অবস্থানে পুলিশ - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    বাসাইলে একইস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র সমাজের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক; কঠোর অবস্থানে পুলিশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    টাঙ্গাইলের বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে একইস্থানে সমাবেশের আহ্বানকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। 

    বাসাইলে একইস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র সমাজের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক; কঠোর অবস্থানে পুলিশ

    আগামীকাল রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একই সময়ে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজের ব্যানারে ছাত্র সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহীদ মিনার চত্বরে কাউকেই সমাবেশ ও প্রবেশের সুযোগ দেবে না পুলিশ। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

    লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল লিখিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে প্রয়োজনীয় যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন। তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অনুলিপি দেন। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।

    এদিকে, ছাত্র সমাজের ব্যানারে একইস্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করেছেন ছাত্র নেতৃবৃন্দের পক্ষে রনি মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তবে রনি মিয়ার মোবাইল নম্বর ও পুরো ঠিকানা আবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। সমাবেশটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতিনিধি আয়োজন করেছে। সমাবেশে অতিথি হিসেবে কে থাকবেন বিষয়টি বলা হয়নি।

    অপরদিকে, পৃথক দুটি সমাবেশের আয়োজকরা পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছে। একইস্থানে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় বিষয়টি আলোচনার কেন্দৃবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

    ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দদের পক্ষে আবেদনকারী রনি মিয়া বলেন, ‘সারাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসন করার চেষ্টা চলছে। যাতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুর্নবাসন করতে না পারে এজন্য আমরা ছাত্র সমাজ সমাবেশের ডাক দিয়েছি। আমাদের সমাবেশ খুবই শান্তিপূর্ণভাবে হবে। যত বাধা বিপত্তি আসুক আমরা নির্ধারিত স্থানেই সমাবেশ করবো। অনুষ্ঠানে ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।’

    যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙ্গাল বলেন, ‘অনুমতি চেয়ে আমরা আগে আবেদন করেছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বানচালের জন্য তারা একইস্থানে সমাবেশ ডেকেছে। তারা আমাদের অনুষ্ঠানের আগে বা পরদিন সমাবেশ করতে পারতেন। তাদের সাথে তো আমাদের কোনো প্রতিহিংসা নেই। ইতোমধ্যে আমরা অতিথিদের দাওয়াত দিয়েছি।’

    বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘একইস্থানে কাদেরিয়া বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাজ সমাবেশের আহ্বান করেছে। এদিন যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা কাউকে শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান করতে দেবো না। এছাড়াও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে শহীদ মিনারে প্রবেশ করতেও দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।’

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, ‘উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন জমা হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728