মির্জাপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    মির্জাপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

    মির্জাপুর প্রতিনিধি:


    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে। 

    মির্জাপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া


    স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমন্তের অনুসারীদের মধ্যে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  এতে সম্মেলনের কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলেও দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়নে সদরের কলেজ রোডে আওয়ামী লীগ দলীয় ও সৈয়দ টাওয়ারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধায় জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদককে নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসে কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে বৈঠক করছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।  


    উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা সেতাব মাহমুদ জানান, সম্মেলন চলাকালে হল রুমের ভীড় ঠেলে এক কর্মী বার বার আসা যাওয়া করছিল। তাকে নিষেধ করায় সে তাদের উপর চড়াই হয়ে হাতাহাতি শুরু করে। পরে তার পক্ষ নিয়ে অন্য কয়েকজন এসে মারামারি শুরু করলে এই বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে।
    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত অভিযোগ করে বলেন, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি রেওয়াজ রয়েছে যে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃত্ব মির্জাপুর উপজেলার নেতৃবৃন্দই নির্ধারণ করে থাকে। কোন কারণ ছাড়াই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সেই রেওয়াজ ভঙ্গের জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
    এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বার বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 


    জানা গেছে, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর শনিবার মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ। অন্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মেজর (অবঃ) আব্দুল হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ আহম্মদুল্লাহ জুয়েল, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল গোস্বামী, সদস্য ডা. সালাম প্রামানিক ও নাবিলা  নোহাত চৈতি, টাঙ্গাইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মির্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন প্রমুখ।


    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ জানান, নির্ধারিত সময়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়ে প্রথম পর্বে নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা চলছিল। এসময় সময় মিলনায়তনের মাঝখানে বসার স্থান নিয়ে দুই কর্মীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হলে হাতাহাতি ও চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে ৫ জন সভাপতি ও ৩ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা দেন। জেলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আলাপ আলোচনা মাধ্যমে কমিটি গঠনের লক্ষে বৈঠক চলছে বলে তারা জানিয়েছেন 


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728