মির্জাপুরে এক রাতে দুটি ট্রান্সফর্মার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল্যবান কাগজপত্র চুরি
মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক রাতে দুটি টান্সফর্মার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস রুমে থাকা ৫টি স্টিলের আলমারী ভেঙে মূল্যবান কাগজপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে অন্ধকারের নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। বুধবার রাতে উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী মধ্যপাড়ায় এ চোরির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা হাজী মো. মনিরুজ্জামানের বাড়ির পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে থাকা ১৫ কেভির একটি ট্রান্সফর্মার রাতের কোন এক সময়ে চোরের দল চুরি করে নিয়ে যায়। ফলে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া ওই একই সময়ে চোরের দল মনিররুজ্জামানের ঘরের ভেতরে খুলে রাখ বোরো ধানের প্রজেক্টে ব্যবহৃত ৫ কেভির টান্সফর্মারটিও চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া বাড়ির পাশে বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দার গ্রীল ও অফিস রুমের দরজার ছিটকেরি কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ৫টি আলমারির তালা ভেঙে মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়।
হাজী মনিরুজ্জামান জানান, বোরো প্রজেক্ট শেষে তিনি তার ৫ কেভির ট্রান্সফর্মারটি খুলে ঘরের ভিতরে তালা দিয়ে রাখেন। বাড়িতে না থাকার সুযোগে চোরের দল ঘরের তালা ভেঙে ট্রান্সফর্মারটি নিয়ে গেছে। এছাড়া তার বাড়ির পাশে খুঁটিতে থাকা ২৫ কেভির ট্রান্সফর্মারটিও নিয়ে গেছে। এতে তাদের বাড়ির আশপাশের অর্ধশতাধিক বাড়ি বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে। চোরের দল ওই রাতেই বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রীল কেটে দরজার তালা ভেঙে অফিস রুমে প্রবেশ করে ৫টি স্টিলের তালা ভেঙে মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে গেছে বলে বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী ফিরোজ মিয়া জানিয়েছেন।
মির্জাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার খালিদ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম চুরি যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন জানিয়েছেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments