আকাশ ছোঁয়ো কাঁচা মরিচের দাম থেকে বাঁচার উপায় - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    আকাশ ছোঁয়ো কাঁচা মরিচের দাম থেকে বাঁচার উপায়

    মো.নজরুল ইসলাম,মধুপুর :


    কাঁচা সবজির বাজারের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম প্রায় সময়ই আকাশ ছোঁয়ো থাকে। বর্তমানের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ৪শ টাকা কেজি। মধুপুর ও ঘাটাইলের গৃহিনীরা আজকাল রান্নাঘরের সামনে উক্তা মরিচ গাছ রোপন করছেন। ফলে বাড়ির কর্তারা ৪শ টাকা কেজি দামের কাঁচা মরিচের ঝাঁল থেকে বাঁচার উত্তম উপায় খোঁজে পেয়েছেন।

    আকাশ ছোঁয়ো কাঁচা মরিচের দাম থেকে বাঁচার উপায়


    বাড়ির উঠোনে রান্নাঘরে সামনে ২-৩টি মরিচ গাছ সারা বছর পরিবারের মরিচের জোগান দিয়েও পাশের পরিবারসহ প্রায় চলে যায়। একটি গাছে ২-৩ কেজি মরিচ ধরে। গাছে প্রায় সারা বছরই মরিচ ধরে। সাধারণ মরিচের চেয়েও ঝাঁল এবং স্পষ্ট হয়ে থাকে। সাধারণ মরিচ গাছে মরিচ ধরে নিচের দিকে ঝুলে থাকে। এসব গাছের মরিচ ওপরের দিকে থাকে বলে স্থানীয়রা এই মরিচকে উক্তা মরিচও বলে থাকেন। আবার ঘরের ছ্যাইনচায় গাছ হয় বলে কোন কোন গৃহিনী  একে ছ্যাইনচা মরিচও বলে থাকেন।

    এই মরিচ গাছ সাধারণত ৪ ফুট থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই মরিচগুলো প্রায় ৩ জাতের হয়ে থাকে। কোনটা লম্বা হয়,কোনটা গোল হয় আবার কোনটা মাঝারি আকারের কালোও হয়ে থাকে। এই মরিচ গাছ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ির গৃহিনীরা রোপন করে থাকে। তারা গাছ থেকে স্পষ্ট পাকা মরিচ তোলে শুকিয়ে বীজ বের করে মাটির গামলা বা রাবারের বাটি উর্বর মাটি দিয়ে বীজ বপণ করে ছিকা বা রশিতে ঝুলিয়ে রাখে। কয়েকদিন পর সেখান থেকে গাছ উৎপাদন হয়। পরে একটা একটা করে গাছ ঘরের সামন দিয়ে রোপন করে বাঁশের খুঁটি দিয়ে দেন। হাঁস-মোরগি ও ছাগল-ভেঁড়ার কবল থেকে বাঁচাতে অনেক সময় বেড়াও দিয়ে দেন।

    মধুপুর উপজেলার কদিমহাতীল, দড়িহাতীল, বেতবাড়ি, ধামাবাশুরি, জয়নাতলি এবং ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর, (হামকুড়া) মোমিনপুর, পেঁচারআটা, সংগ্রামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের গৃহিনীরা এখন এই উক্তা মরিচ গাছ রোপন করছেন।

    মধুপুরের ধামাবাশুরি গ্রামের গৃহিনী আনোয়ারা আক্তার বলেন, ছ্যাইচা মরিচ গাছে অনেকগুলো করে মরিচ ধরে। সারা বছর খাই। তারপর পাশের বাড়ির অনেকে আবার নিয়েও যায়।

    চাপড়ি বাজারে সবজি ব্যবসায়ী মো.জিন্নত আলি বলেন, বর্তমানে কাাঁচা মরিচ ৪শ টাকা কেজি। আমার বাড়ি ৯টা গাছ লাগিয়েছি। আমি প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২-৩ কেজি উক্তা মরিচ বিক্রি করি। তিনি বলেন এই মরিচের অনেক লাভ। সানরাইজ আইডিয়াল স্কুলের সহকারি শিক্ষক তাসমিন ইসলাম শিশির বলেন, বাড়ির গৃহিনীদের এই মরিচ গাছ রোপনে আরো উৎসাহি হওয়া প্রয়োজন। তিনি জানান, পরিবারে মরিচের চাহিদাও মিটবে এবং বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে।

    উপজেলা কৃষি অফিসে এই উক্তা মরিচের ব্যাপারে কোন তথ্য নেই। এই মরিচ কারা উদ্ভাবন করলো? এই মরিচের নাম কি? এটা কিভাবে বেশি পরিমাণে আবাদ করা যায় এসব কোন তথ্যই মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসে নেই। এই লাভবান মরিচ চাষে উৎসাহিত করার ব্যাপারেও কোন পদক্ষেপ নেই।

    উপ-কৃষি সহকারি মো.ইমাম হোসেন বলেন, আমার বাড়িতেও এই মরিচ গাছ রোপন করেছি। গাছ তেকে তোলে ২ কেজি মরিচ শুকিয়ে নিয়েছি। এই মরিচ খুবই ঝাঁল।

    মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান,আমরা তো সাধারণত বাণিজ্যিক ভিত্তিক মরিচ চাষে নজরদারি করে থাকি। হিলটেক্স এলাকায় এক ধরণের ছোট ছোট মরিচ চাষ হয়্ ঐ মরিচকে দাইন্যা মরিচ বলা হয়। হয়তো ঐ রকম কোন জাতের মরিচ হবে। তিনি জানান এই মরিচ চাষ খুব লাভজনক ফসল।ইে মরিচ চাষে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিৎ।




    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728