চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩ - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩

    রাইসুল ইসলাম লিটন

    ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর মামলায় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি-উত্তর)। 

    চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার-৩


    শনিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

    গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত(২৯), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ(৩০) এবং ঢাকার সাভার উপজেলার টানগেন্ডা গ্রামেরআবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ(২৮)। 

    টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি-উত্তর) অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন, ডিবি-দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. আহসানুজ্জামান, এসআই নাফিউল ইসলাম ও এসআই সুদীপ বাছাড়সহ একদল চৌকষ গোয়েন্দা সদস্য গুপ্তচরের সদস্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকা থেকে উল্লেখিত তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র ছুরি, মোবাইল ফোন ও নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা জব্দ করা হয়।


    তিনি জানান, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলস’ নামক একটি বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মির্জাপুর থানায় একটি মামলা(নং-১৭(০২)২৫) দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা পুলিশ তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।  

    প্রকাশ, এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি(সোমবার) দিনগত মধ্যরাতে আমরি ট্রাভেস নামক বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাসের যাত্রীরা জানায়, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানি করার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্জন স্থানে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়। ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে চালক বাস নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এসময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। অবশেষে ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার(২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী একটি মামলা দায়ের করেন।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728