মধুপুরের প্রবীন সাংবাদিক এম. এ. রউফ আর নেই
মো. নজরুল ইসলাম:
টাঙ্গাইলর মধুপুরে বর্ষীয়ান প্রবীণ সাংবাদিক এম. এ রউফ (৬৫) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। শনিবার সকালে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
এম.এ. রউফ মধুপুরের এক সময়ের বহুল আলোচিত পত্রিকা সাপ্তাহিক মধুবাণী’র সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মধুপুর প্রতিনিধি ছিলেন।
সাংবাদিক আবদুর রউফ- এর স্ত্রী মাজেদা বেগম এ খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাংবাদিক আবদুর রউফ দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও কিডনি রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আবদুর রউফের স্ত্রী মাজেদা বেগম আরো জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকার পিজি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর সকাল ৯টায় তিনি মারা যান।
তিনি আরো বলেন, শরীর যেদিন ভালো থাকত সেদিনই তিনি আমার দেশ-এর জন্য সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হতেন। আমার দেশ আবার প্রকাশিত হওয়ায় তিনি অসুস্থ অবস্থায় থেকেও আনন্দিত হতেন। তিনি আমার দেশ-এর জন্য কাজ করতে এ পৃথিবীতে আর ফিরে আসবেন না। এসব কথা বলতে বলতে তিনি চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন।
আবদুর রউফ নব্বইয়ের দশকে উত্তর টাঙ্গাইলে সাপ্তাহিক মধুবাণী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে দৈনিক দিনকাল-এর মধুপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৪ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার যাত্রা শুরু হলে দিনকাল ছেড়ে আমার দেশ-এর মধুপুর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আমৃত্যু কাজ করেছেন।
গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি সাংবাদিক আবদুর রউফ আমার দেশ-এর প্রতিনিধি সম্মেলনে ঢাকায় যোগ দিয়েছিলেন। অসুস্থ শরীরে আমার দেশ-এ আমৃত্যু কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আমার দেশ প্রকাশ করতে পারার কারণেই তিনি মানসিকভাবে সুস্থ হয়েছেন। ঢাকায় অসুস্থ শরীরে আমার দেশ-এর ঢাকা অফিসে খোঁজখবর নিয়েছেন।
সাংবাদিক আবদুর রউফ ২০১১-১২ সালে আমার দেশ বন্ধ করার জন্য দায়ী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।
No comments