টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে গণমানুষের আস্থার প্রতীক বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজাদ - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে গণমানুষের আস্থার প্রতীক বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজাদ

    স্টাফ রিপোর্টার :

    লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হলেও আজ তিনি পরিচিত সমাজসেবক, মানবিক সহায়তাদাতা ও দায়িত্বশীল রাজনীতিক নেতা হিসেবে। 


    টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে গণমানুষের আস্থার প্রতীক বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজাদ

    তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন। তার রাজনৈতিক যাত্রা নিছক পদ-পদবীর জন্য নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার থেকে শুরু হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যেভাবে অসহায়-দরিদ্রদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন, ঠিক সেই ধারাবাহিকতাই আজাদ সাহেবও বাস্তবে প্রয়োগ করছেন। এ কারণেই বিএনপির আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় কর্নেল আজাদ সাহেবকে এগিয়ে রাখছে স্থানীয় মানুষসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।


    আজাদ সাহেব রাজনীতির মাঠে যেমন সক্রিয়, তেমনি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তিনি সমানভাবে সফল। প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুঃস্থদের আর্থিক সহযোগিতা, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, চিকিৎসা সহায়তা থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকা তার অন্যতম কাজ। করোনাকালীন সময়ে তিনি এলাকার অসংখ্য মানুষকে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি কখনও দলীয় সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকেননি; বরং জনগণের সেবাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
    তার সামাজিক কর্মকাণ্ড এতটাই গভীর যে, সাধারণ মানুষ তাকে এখন আর কেবল অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হিসেবে দেখছে না, বরং জনতার নেতা হিসেবে বিশ্বাস করছে। 

    যেখানেই কোনো অসহায় মানুষ পড়েছেন, সেখানেই কর্নেল আজাদের হাত প্রসারিত হয়েছে। গরিব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ঋণমুক্তির সহায়তা করা, যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরিতে সহযোগিতা, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ তার নিয়মিত কর্মসূচি। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশার ক্ষেত্রে আজাদ সাহেবের এগিয়ে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ হলো তার জনসম্পৃক্তি। অন্যরা যেখানে কেবল নির্বাচনী সময়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান, আজাদ সেখানে প্রতিদিন মানুষের দুঃখ-দুর্দশার খবর রাখেন। তার ফোন নম্বর সাধারণ মানুষ জানে, সাহায্যের জন্য কেউ যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণিক সাড়া দেন। তার মানবিক আচরণ ও সহজ-সরল জীবনধারা মানুষের মনে আস্থা জাগিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আজাদ সাহেব বিএনপির নীতি ও আদর্শের প্রতি গভীরভাবে অনুগত। তিনি সবসময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করেছেন। 

    বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলন-সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের নতুন দিকনির্দেশনাকে তিনি শক্তভাবে সমর্থন করছেন। মাঠপর্যায়ে কর্মীদের সংগঠিত করা, যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা এবং তৃণমূল বিএনপিকে শক্তিশালী করার কাজে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। আজাদ সাহেবের জনপ্রিয়তা বাড়ার আরেকটি বড় কারণ হলো তার সততা। বর্তমান সময়ে যখন রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি ও বিলাসী জীবনধারা নিয়ে সমালোচনা হয়, তখন কর্নেল আজাদ তার সাদামাটা ও স্বচ্ছ জীবনধারার কারণে জনতার ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তিনি রাজনীতি থেকে ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেননি; বরং মানুষের সেবা করাকেই নিজের দায়িত্ব হিসেবে দেখেছেন। তার এলাকার মানুষ মনে করে, আজাদ সাহেব মনোনয়ন পেলে বিএনপির অবস্থান অনেক শক্তিশালী হবে। 

    কারণ তিনি স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, গ্রহণযোগ্য এবং সব শ্রেণির মানুষের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মসূচি সবখানেই তার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। এই বহুমাত্রিক সম্পৃক্ততাই তাকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকে এগিয়ে রেখেছে। রাজনীতির মাঠে তিনি কখনও সহিংসতা বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াননি। তিনি বিশ্বাস করেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তি হচ্ছে মানুষের আস্থা অর্জন করা। এজন্য তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও জনসংযোগের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এমন পরিমিতি বোধ ও পরিশীলিত রাজনীতি তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।


    কর্নেল আজাদের কর্মকাণ্ডকে অনেকেই তুলনা করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর মানবিক ভূমিকার সাথে। যেভাবে তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছেন, আজাদ সাহেবও সেই একই ধারা অনুসরণ করছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, মানবিক রাজনীতি কেবল শ্লোগানে নয়, বাস্তব কাজে প্রতিফলিত হয়।


    এমনকি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তার ভাবমূর্তি ইতিবাচক। বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীরাও তাকে সমর্থন জানাচ্ছেন। প্রবাসীরা মনে করছেন, আজাদ সাহেবের মতো একজন সৎ ও মানবিক নেতাকে মনোনয়ন দিলে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং সাধারণ ভোটাররা বিএনপির প্রতি আস্থা ফিরে পাবে।


    কর্নেল আজাদ সাহেব সবসময় বলে থাকেন—“রাজনীতি মানুষের সেবার নাম, নিজের স্বার্থ পূরণের পথ নয়।” তার এই মূলনীতি জনতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। স্থানীয় মানুষ আজ তাকে এক প্রকার প্রতীকী ভরসা হিসেবে দেখে। অসহায় বিধবা নারীর পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে মেধাবী ছাত্রকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি দেওয়া—সবক্ষেত্রেই তার ভূমিকা স্পষ্ট।


    আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন বাছাইয়ে আজাদ সাহেবকে এগিয়ে রাখার আরেকটি দিক হলো তার সাংগঠনিক দক্ষতা। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। যেখানে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী বিভাজন তৈরি করেছেন, সেখানে আজাদ সাহেব ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন, বিভক্ত হয়ে কোনো আন্দোলন সফল হয় না, তাই সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন।


    আজকের রাজনৈতিক অস্থির প্রেক্ষাপটে এমন একজন নেতার দরকার, যিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেন, সততার সাথে রাজনীতি করতে পারেন এবং সমাজসেবাকে প্রাধান্য দেন। কর্নেল আজাদ ঠিক সেই জায়গাতেই নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন। তার জনপ্রিয়তা, মানবিক কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং দলের প্রতি আনুগত্য তাকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকে এগিয়ে রেখেছে।


    সব মিলিয়ে বলা যায়, লে. কর্নেল (অব.) আজাদ শুধু একজন সেনা কর্মকর্তা নন, তিনি এখন মানবিক জননেতা। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড়ে তিনি মানুষের ভালোবাসা, সেবামূলক কাজ ও সততার কারণে আলাদা করে চোখে পড়ছেন। বিএনপি যদি সত্যিকারের জনপ্রিয় প্রার্থী বেছে নিতে চায়, তবে আজাদ সাহেব হবেন সেই যোগ্য ব্যক্তি যিনি দলের পতাকা নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728