টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনে গণমানুষের আস্থার প্রতীক বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজাদ
স্টাফ রিপোর্টার :
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুল ইসলাম আজাদ একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হলেও আজ তিনি পরিচিত সমাজসেবক, মানবিক সহায়তাদাতা ও দায়িত্বশীল রাজনীতিক নেতা হিসেবে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন। তার রাজনৈতিক যাত্রা নিছক পদ-পদবীর জন্য নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার থেকে শুরু হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যেভাবে অসহায়-দরিদ্রদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন, ঠিক সেই ধারাবাহিকতাই আজাদ সাহেবও বাস্তবে প্রয়োগ করছেন। এ কারণেই বিএনপির আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় কর্নেল আজাদ সাহেবকে এগিয়ে রাখছে স্থানীয় মানুষসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যেখানেই কোনো অসহায় মানুষ পড়েছেন, সেখানেই কর্নেল আজাদের হাত প্রসারিত হয়েছে। গরিব কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ঋণমুক্তির সহায়তা করা, যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরিতে সহযোগিতা, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ তার নিয়মিত কর্মসূচি। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশার ক্ষেত্রে আজাদ সাহেবের এগিয়ে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ হলো তার জনসম্পৃক্তি। অন্যরা যেখানে কেবল নির্বাচনী সময়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান, আজাদ সেখানে প্রতিদিন মানুষের দুঃখ-দুর্দশার খবর রাখেন। তার ফোন নম্বর সাধারণ মানুষ জানে, সাহায্যের জন্য কেউ যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণিক সাড়া দেন। তার মানবিক আচরণ ও সহজ-সরল জীবনধারা মানুষের মনে আস্থা জাগিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আজাদ সাহেব বিএনপির নীতি ও আদর্শের প্রতি গভীরভাবে অনুগত। তিনি সবসময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করেছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলন-সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের নতুন দিকনির্দেশনাকে তিনি শক্তভাবে সমর্থন করছেন। মাঠপর্যায়ে কর্মীদের সংগঠিত করা, যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা এবং তৃণমূল বিএনপিকে শক্তিশালী করার কাজে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। আজাদ সাহেবের জনপ্রিয়তা বাড়ার আরেকটি বড় কারণ হলো তার সততা। বর্তমান সময়ে যখন রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি ও বিলাসী জীবনধারা নিয়ে সমালোচনা হয়, তখন কর্নেল আজাদ তার সাদামাটা ও স্বচ্ছ জীবনধারার কারণে জনতার ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তিনি রাজনীতি থেকে ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেননি; বরং মানুষের সেবা করাকেই নিজের দায়িত্ব হিসেবে দেখেছেন। তার এলাকার মানুষ মনে করে, আজাদ সাহেব মনোনয়ন পেলে বিএনপির অবস্থান অনেক শক্তিশালী হবে।
কারণ তিনি স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, গ্রহণযোগ্য এবং সব শ্রেণির মানুষের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মসূচি সবখানেই তার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। এই বহুমাত্রিক সম্পৃক্ততাই তাকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকে এগিয়ে রেখেছে। রাজনীতির মাঠে তিনি কখনও সহিংসতা বা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াননি। তিনি বিশ্বাস করেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তি হচ্ছে মানুষের আস্থা অর্জন করা। এজন্য তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও জনসংযোগের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এমন পরিমিতি বোধ ও পরিশীলিত রাজনীতি তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
No comments