বাসাইলে শিশু শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধে বিদ্যালয়ে প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপন, আনন্দে উচ্ছ্বসিত - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    বাসাইলে শিশু শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধে বিদ্যালয়ে প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপন, আনন্দে উচ্ছ্বসিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : 

    টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী ও বিনোদন এবং শারীরিক-মানসিক বিকাশসহ ঝরেপড়া রোধে প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপন করা হয়েছে।

    বাসাইলে শিশু শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধে বিদ্যালয়ে প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপন, আনন্দে উচ্ছ্বসিত

     বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ‘বিশ্বকে বদলে দিতে, বিকশিত হই আনন্দের সাথে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার নাইকানীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপনের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম। 

    উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় শিশু শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্রথম পর্যায়ে বাসাইল সদর ইউনিয়নের নাইকানীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম বীথি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মনির খান ইমন, নাইকানীবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী জামান প্রমুখ।  

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও আনন্দময় পরিবেশে বেড়ে উঠবে। এখন আনন্দের সাথে তারা স্কুলে আসবে। বিদ্যালয়ের অনুপস্থিতির হার কমে যাবে। প্রত্যেকটা বিদ্যালয়েই এমন প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপন করা প্রয়োজন।’  

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, ‘বিশ্বকে বদলে দিতে, বিকশিত হই আনন্দের সাথে’ এই প্রতিপ্রাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক মহোদয় বাসাইল উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ একটি বিদ্যালয়ে এই উদ্বোধন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি বিদ্যালয়গুলোতে করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝরে যাচ্ছে এবং উপস্থিতিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। প্লে-গ্রাউন্ড স্থাপনের মূল উদ্দেশ্যই তাদেরকে আনন্দের সাথে বিদ্যালয়মুখী করা এবং শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত এবং আনন্দের সাথে শিখতে পারা। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আশা করছিÑ শিশুরা ফুটন্ত ফুলের মতো বিকশিত হবে।’  

    এদিকে, শিশু শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যাললে পড়াশোনার পাশাপাশি বিনোদনের জন্য এমন সুযোগ পাওয়ায় আনন্দে উচ্ছ্বসিত। তারা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। 


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728