কথা রাখেনি জনপ্রতিনিধি! এলাবাসীর উদ্যোগে সড়ক নির্মাণ - TangailTimes24
  • সংবাদ শিরোনাম

    কথা রাখেনি জনপ্রতিনিধি! এলাবাসীর উদ্যোগে সড়ক নির্মাণ

    রাইসুল ইসলাম লিটন:

    টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের সাভার সামাজিক গোরস্থান থেকে দক্ষিণপাড়া আমির আলী সরকারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার গ্রামীণ সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ বছরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিয়েও সড়কটি নির্মাণ না করায় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নির্মাণ করছেন।
    কথা রাখেনি জনপ্রতিনিধি! এলাবাসীর উদ্যোগে সড়ক নির্মাণ


    জানাগেছে, কোকডহরা ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া সামাজিক গোরস্থানটি দীর্ঘদিনের পুরনো। যাতায়াতের কোন রাস্তা না থাকায় মরদেহ গোরস্থানে নিয়ে যেতে স্থানীয়দের মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ব্যতিত গোরস্থানে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এলাকাবাসী দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ করেও কোন সুফল পায়নি।

    সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় শতাধিক লোক স্বেচ্ছাশ্রমে পাশের খাল থেকে মাটি কেটে সড়ক বাঁধছেন। কেউ মাটি কেটে টুকরি ও সিলভারের ডিসে ভরে দিচ্ছেন, কেউ টুকরি ও ডিস মাথায় করে মাটি বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

    স্থানীয় আতিকুর রহমান, ওমর আলী, সাহেব আলী, দুলাল মিয়া, ফরিদ উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আলহাজ হুরমুজ আলী, রফিকুল ইসলাম সহ শতাধিক ব্যক্তি জানান, ভোটের সময় এলেই স্থানীয় প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু ভোট চলে গেলে ভুলে যায়। সড়ক নির্মাণ করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার অনুরোধ করলেও কেউ কথা রাখেনি।

    গোরস্থান কমিটির সভাপতি আলীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসহাক উদ্দিন জানান, তাদের সমাজে চার শতাধিক পরিবার রয়েছে। তারা গত ১৫ বছর ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেও গোরস্থানের সড়ক পাননি। বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়কটি নির্মাণে এগিয়ে এসেছে। প্রত্যেকের হাজিরা ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ টাকা দিচ্ছে আবার কেউ শ্রম দিয়ে
    টাকা পরিশোধ করছেন।

    কোকডহরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাছেদ মিয়া জানান, গোরস্থানের এ সড়কটি নির্মাণে তারও প্রতিশ্রুতি ছিল। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একটি প্রজেক্ট ইউনিয়ন পরিষদে দিয়েছেন। অনুমোদনের অপেক্ষার মাঝেই এলাকার লোকজন সড়কের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

    কোকডহরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জানান, গোরস্থানের ওই সড়কটি তাদের প্রজেক্ট তালিকায় রয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। এটা খুবই ভালো দিক। প্রজেক্ট পাশ হলে গোরস্থানের উন্নয়ন করা হবে।


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728