নাগরপুরে একই আঙ্গিনায় মসজিদ ও মন্দীরে হয় ধর্ম চর্চা, পরিদর্শনে এসপি
নাগরপুর প্রতিনিধিঃ
কয়েক দশক যাবৎ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে একই আঙ্গিনায় মসজিদ ও মন্দীরে হচ্ছে ধর্ম চর্চা।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শারদীয় দূর্গা পূজার মন্ডোপ পরিদর্শনে এসে, পাশাপাশি মসজিদ মন্দিরে ধর্ম চর্চা দেখে মুগ্ধ হন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়নে ১২৬টি মন্ডোপে দূর্গা পূজা উদযাপন হচ্ছে।
৫৭ বছর আগে নাগরপুর চৌধুরী বাড়িতে ওঁঝা ঠাকুর ও হরনাথ স্মৃতি কেন্দ্রীয় দূর্গা মন্দীর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা করে আছে। মন্দীরে আঙ্গিনার পাশেই প্রায় ৬ দশক আগে নাগরপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ স্থাপনের পর থেকেই একই আঙ্গিনায় মন্দীর মসজিদে পাশাপাশি দুটি ধর্মের অনুসারীরা ভ্রাতৃত্বের সাথে ধর্ম চর্চা করে আসছে।
দুটি ধর্মের অনুসারীরা সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। উভয় ধর্মের অনুসারীরা একে অপরের ধর্মচর্চায় সহযোগিতার মাধ্যমে নিজ নিজ ধর্ম পালনে পৃথিবীর বুকে এক অরন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নামাজের ওয়াক্তের আজানের শুরুতেই থেমে যায় শঙ্খ ও ঢাক-ঢোলের শব্দ এবং নিরব থাকে নামাজ আদায় শেষ না হওয়া পর্যন্ত। ঠিক তেমনি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যখন পূজা অর্চনায় মেতে ওঠেন তখন নামাজ ব্যতীত কোন ধরনের ইসলাম ধর্মীয় চর্চা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকেন মুসল্লিরা। এছাড়াও প্রতিমা দর্শনে আগতরা বেশিরভাগ সময়ে অবস্থান নেন মসজিদ আঙিনায়। রোজা, নামাজ, পূজা একই সাথে একই আঙ্গিনায় পালন করেন দুটি ধর্মের অনুসারীরা। এলাকার হিন্দু-মুসলিম সকলেই একে অপরের মসজিদ মন্দিরের সুরক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুগের পর যুগ ধরে কাজ করে আসছে। ইতিপূর্বে কোন সহিংসতা তো দূরের কথা, কোনদিন বাক-বিতণ্ডার নজির নেই এখানে।
উভয় ধর্মের অনুসারীরা এ সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে শতাব্দীর পর শতাব্দী টিকিয়ে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এসময় অন্যানের মধ্যে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান, নাগরপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছালাম, সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হবি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাগরপুর শাখার আমীর মাওলানা মো.রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ইসলামী আন্দোলনের আকিনুর মিয়া সহ নাগরপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চৌকর সদস্য বৃন্দ।

 
 
 
 
 
 
No comments